অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
– অদ্ভুত আঁধার এক-জীবনানন্দ দাশ’
কেউ বা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত কেউ বা ধর্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে। কেউ বা ব্যস্ত নিয়ে স্বার্থনীতি। কেউ বা কথার লড়াইয়ে, যুক্তির লড়াইয়ে জয়ী বীর পুরুষ। চারিদিকে কোলাহল, কখনও বক্তৃতা, কখনও নিজের দেয়া যুক্তি, স্ব স্ব ক্ষেত্রে আমরা সবাই অসম্ভব পারদর্শী। কম বেশি সবাই স্বার্থবাদী। কেউবা প্রকাশ্যে কেউবা একটু লুকানো। কেউ বা জান্নাতে যাওয়ার জন্য অনেক ব্যকুল। কেউবা আবেগে ক্রন্দন করি। তবে মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে আমরা কেউই স্বার্থহীন থাকতে পারিনি। মানুষকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে কখনও বা শরীরের রং, কখনও বা শ্রেনী বৈষম্য, কখনও বা গোষ্ঠী গত দ্বন্দ্ব কখনও জাতীয়তা বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। ধর্ম ও অধর্মের লড়াইয়ে মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসার ক্ষেত্রে আমরা বাধার প্রাচীর দুর করতে পারিনি। এখানে আমরা থেকেছি বরাবরই সংকীর্ণ। কখনও বা মতাদর্শের কারনে, কখনও বা একই মতাদর্শের ভেতরে উচু-নিচু মানের কারনে, কখনও শ্রেনীর বৈষম্যের কারনে মানব প্রেম বরাবরই পরাজিত হয়েছে। অবহেলিতরাই বেশি ত্যাগ স্বীকার করে, জীবনে কষ্ট করে অন্যর সূখের কাচামাল সরবরাহ করে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ ইসলামের প্রচার শুরু করার আগে মানুষের ভালোবাসার পাত্র হয়েছিলেন নিজের চারিত্রিক মার্ধুর্য্য দিয়ে। উনি ভালোবাসার বাণী পৌছে দিয়েছিলেন সবার দ্বারে দ্বারে। আমরা কতটুকু ভালোবাসা মানুষের দ্বারে পৌছাতে পারছি একটু ভাববার বিষয় বৈকি। ভালোবাসা না দিয়ে ভালোবাসা আশাকরা বোকামী। মানুষের মনে স্থান পেতে হলে শুধু মাত্র মানুষের জন্য বেশি বেশি কাজ করা উচিত। শুধু মাত্র মানব কল্যানে। এখানে আমরা পিছিয়ে অনেক অনেক দুর। সমাজের কিছু মানুষকে আমরা কখনো বা মানুষই মনে করিনা, কখনও নিজেদের জান্নাতবাসী ভেবে তাদেরকে নরকের আগুনে দেখে আচ লাগার ভয়ে তাদের দিকে চেয়ে তাকাইনা। অথচ একটুখানী ভালো দৃষ্টিভংগীই হয়ত পারে সকল মন্দ দুর করে সুন্দর এক সমাজ গড়তে
হে মানব যদি বিশ্বাস কর স্রস্টার বিশালতায় –
তবে কেন নিজেকে এত ক্ষুদ্র কর নীচতায় !
যদি বিশ্বাস কর আদম-হাওয়া, এডামস-ইভ কিংবা মন্যু- সীতায়-
তবে জেনো সকলে তোমার ভ্রাতাই ।
যদি শুনে থাক গল্প হাবিল-কাবিলের-
তবে জেনো নিশ্চয় আছে কারসাজি ইবলিসের ।
হে মানব রঞ্জিত কোরনা আর হাত ভ্রাতার রক্তে –
নিমজ্জিত হয়োনা আর আদিম পঙ্কে ।
এস আলোর পথে , উদ্ভাসিত হও প্রজ্ঞায় –
সৃষ্টির সেরা জীব তুমি – দীক্ষিত হও মানবতায় ।
তবে কেন নিজেকে এত ক্ষুদ্র কর নীচতায় !
যদি বিশ্বাস কর আদম-হাওয়া, এডামস-ইভ কিংবা মন্যু- সীতায়-
তবে জেনো সকলে তোমার ভ্রাতাই ।
যদি শুনে থাক গল্প হাবিল-কাবিলের-
তবে জেনো নিশ্চয় আছে কারসাজি ইবলিসের ।
হে মানব রঞ্জিত কোরনা আর হাত ভ্রাতার রক্তে –
নিমজ্জিত হয়োনা আর আদিম পঙ্কে ।
এস আলোর পথে , উদ্ভাসিত হও প্রজ্ঞায় –
সৃষ্টির সেরা জীব তুমি – দীক্ষিত হও মানবতায় ।