মানুষ যত বড়ই শিক্ষা অর্জন করুক না কেন তার মুখের ভাষা, অন্যর প্রতি তার আচরন এবং সমাজ নিয়ে তার দর্শনই তার শিক্ষার গভীরতা নিয়ে সম্যক ধারনা উপস্থাপন করে।
ডঃ ইউনুস এবং হুমায়ুন আহমেদের সাথে ড. জাফর ইকবালের তুলনা চলেনা এই কারনে যে ড. ইউনুস এবং হুমায়ুন আহমেদরা নিজেদের কাজ করে গেছেন, সমাজে বিভেদের বাণী শোনায়নি। একজন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ নিয়ে কাজ করেছেন আর একজন সমাজকে সাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বলা হয় সাহিত্য সমাজের দর্পন স্বরূপ আর সেই দর্পনকে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ। এই দুজন কথা বলেন সামষ্ঠিক বিষয় নিয়ে, একটি জাতি একটি দেশ নিয়ে। এখানেই জাফর ইকবাল এদের থেকে আলাদা জাফর ইকবাল গঠনের চেয়ে ভাংগতে বেশি পছন্দ করেন। তিনি সমাজের একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন আর অপর একটি অংশকে তিনি ঘৃণা করেন, সমালোচনা করেন। মহত ব্যক্তিরা খুব কমই পক্ষপাতদুষ্ট হয়। যারা সমাজের সংষ্কার করেছিলেন তারা বরাবরই সমাজের জন্য কাজ করেছেন কোন গোষ্ঠির জন্য নয়। জাফর ইকবাল এখানেই পিছিয়ে। মানুষের সমালোচনা করলে সেই সমালোচনার জবাব গ্রহনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আর সেই সমালোচনায় যখন মুখের ভাষা ব্যবহার করা হয় তখন অন্য পক্ষের মুখের ভাষাকে হজম করার শক্তিও অর্জন করতে হয়।
মানুষ যত বড়ই শিক্ষা অর্জন করুক না কেন তার মুখের ভাষা, অন্যর প্রতি তার আচরন এবং সমাজ নিয়ে তার দর্শনই তার শিক্ষার গভীরতা নিয়ে সম্যক ধারনা উপস্থাপন করে। সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে ভালোবাসার কথা ছড়াতে হয়, সংশোধন করতে চাইলে তার ভাষাটা কোমল এবং সুন্দর হলে সংশোধন দ্রুত হয়। কাউকে আক্রমন করে ঘৃণা ছড়িয়ে সমাজে সম্মানের আসনে কেউই নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারেনি। সাময়িক হয়ত উম্মাদনা সৃষ্টি করতে পেরেছে কিন্তু মানুষের মনের আসনে স্থান পেতে হলে নিজেকে বিভেদের উর্ধ্বে রেখে মানুষের জন্য ভাবতে হয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।