বল্টুলে তার শিক্ষক প্রশ্ন করছে…
আচ্ছা বল্টু বলতো তুই পড়াশোনা করে কি হতে চাস?
বল্টুঃ স্যার আমি বিয়ে করতে চাই।
শিক্ষকঃ আহা তাতো বুঝলাম, কিন্তু ধর এইযে প্রাইমারী স্কুলে পড়ছিস এভাবে পড়াশোনা করে কি হতে চাস?
বল্টুঃ প্রাইমারী স্কুল শেষ করে হাইস্কুল পড়ব তারপর বিয়ে করবো।
শিক্ষক যতবারই প্রশ্ন করে ততবারই বল্টু বলে যে সে বিয়ে করবে। এরপর শিক্ষক তার বিয়ের ইচ্ছে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
আমার দুইরুমমেট বাসায় রাতে একসাথে হলে একজন বেশ গল্প জমে উঠে। তো একজন আর একজনকে বলছে যে ভাই আপনি সব কিছুতেই রাজনীতি জড়িয়ে ফেলেন কেন??
তবে শুধু উনি না বাংলাদেশের আমরা সবাই সব কিছুর মধ্যে রাজনীতি জড়িয়ে ফেলি। দুজন ব্যক্তি একসাথে হলেই রাজনীতির তর্ক জুড়িয়ে দেই। সুইডেনে আছি ৭ বছর হতে চললো এখানে লোকজন রাজনীতিতো দুরের কথা কেউ কারো সাথে তেমন কথাই বলেন না। কোথাও যাচ্ছে বই হাতে নিয়ে পড়ে। বাচ্চাদের মুখে কি যেন ঢুকে দেয় বাচ্চারা মুখ বন্ধ করে চুষতে থাকে। এখানকার কুকুর গুলোও চিতকার করে খুব কম। এটাকেই সভ্য জাতি বলে কিনা জানিনা। তাহলে এখানকার কুকুর গুলোকেও সভ্য বলা যায়। সভ্য বলেই হয়ত এরা কুকুরকে সাথে নিয়ে ঘুমায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বলেন আর ছাত্র বলেন যে যার কাজে ব্যস্ত কোথাও রাজনীতির গন্ধ বলতে নেই। শুধু ভোটের সময় ভোট দিয়ে আসে সবাই। এজন্যই এরা এত উন্নত যে যার কাজ করে যায়, যে যার পজিশনে কিভাবে সর্বোচ্চ স্থানে জায়গা করে নে্য়া যায় সেই চিন্তা করে। গবেষক রা রাতদিন গবেষনা নিয়েই থাকে। এটাই দেশপ্রেম এরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে জাতিসত্ত্বাকে উচু করে তুলে। রাজনীতি নিয়ে সবাই মাথায় ঘামায় না, তবে ভোটের ব্যাপারে এরা খুবই সচেতন। পুলিশের কাজ পুলিশ করে, পিয়নের কাজ পিয়ন করে। একদিন আমার সুপারভাইজর আমাকে বললো যে, সুইডেনে কাউকে ফোর্স দিয়ে কখনো কিছু বলোনা। যে যার মত করে কাজ করবে এটাই এখানকার নিয়ম।
বাংলাদেশের মানুষ এত দেশপ্রেমিক যে সবার রাজনীতি নিয়ে মাথা না ঘামালে ঠিকমত ঘুম হয়না। অবস্থা এমন যে রাজনীতির চিন্তার মধ্যে আমরা দেশপ্রেম খুজেফিরি। কৃষক থেকে শুরু করে সরকারী চাকুরীজীবি সবার মধ্যে রাজনীতি রাজনীতি সবাইকে খেয়ে ফেলেছে। ফলে কেউ ই কারো কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না। একজন পুলিশের কাজ হলো শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা তেমনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাজ হলো ছাত্রদের উন্নত শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করা, গবেষনায় নিজেকে নিবদ্ধ রাখা। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে সবার মাথা ঘামানোর ফলে বা সবার রাজনীতির সাথে নিজেদের দ্বায়িত্ববোধটুকুর মিশ্রন ঘটানোর ফলে রাজনীতিই তখন দ্বায়িত্ব নির্ধারন করে দেয়, সবাই তখন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে ফলে সমাজে বিশৃংখলা তৈরী হয়।
রাজনীতিকে যদি আমরা জীবনের দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে দুরে পারি তাহলে সবার মধ্যে দ্বায়িত্ববোধ চলে আসবে। সবার সবার এক ধরনের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বিরাজ করবে।
আসুন আমরা রাজনীতিকে নিজেদের মানবীয় জীবনের পরিধি থেকে অনেক দুরে ঠেলে দিয়ে সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ন সমাজ বিনির্মান করি। তাহলে কিছু না হোক সবাই শান্তিতে থাকতে পারবে। দেশের কুকুর গুলো হয়ত মানুষকে দেখে কিছু শিখতে পারবে। সুইডেনে আাসার পর এখারকার কাক পাখি দেখে অবাক হয়েছিলাম, এখানকার মানুষগুলো অনেক লম্বা লম্বা কিন্তু শুধু কাক পাখিই ছোট ছোট। চিন্তা করলাম কাক ছোট হওয়ার কারন। কারন খুজতে গিয়ে দেখলাম এসব দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা কম তাই কাক তাদের খাবার জন্য আবর্জনা খুজে পায় না ফলে বৃদ্ধি কম। অপরদিকে বাংলাদেশের কাক যেমন বড় বড় তাদের গলার কর্কশ শব্দ বেশ বিরক্তিকর। শুধুমাত্র কাক পাখি দেখেই একজন সচেতন মানুষ বুঝতে পারবে দেশটি কত নোংরা। আর এমন নোংরা পরিবেশে নোংরা মানুষ গুলো্য় রাজত্ব করতে পারে। নিজেদের ভালো রাখার জন্য রাজত্বের লড়াইয়ের চেয়ে দরকার পরিবেশ ঠিক রাখা। তাহলে নোংরা কলুষিত মানুষগুলো নিজেদের শাসক হতে পারবেনা।
আসুন রাজনীতি নিয়ে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে নিজ নিজ দ্বায়িত্বটুকু ঠিকভাবে পালন করি। তাহলে পাশের মানুষটি তার অধিকার পেয়ে যাবে।