যুবক হঠাত উঠে দাড়ায়
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে বোতল বন্ধী পেট্রল
চোখে মুখে এক আদিম ক্ষুধা
আদিম ক্ষুধায় পেয়ে বসেছে তাকে
ছুটছে ছুটছে সামনেই শিকার
শিকার তাকে ধরতেই হবে
সামনেই যাত্রী বোঝাই গাড়ী
মুহুর্তেই পোড়ামাংসের গন্ধ,
ছোপ ছোপ রক্তের দাগ,
চারিদিকে ভয়ার্ত আর্তনাদ
দুরে কোথাও শয়তানের অট্টহাসি
জীবন তাড়নায় কষ্ট-ক্লেশে ক্লান্ত যুবক
মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা, বিছানায় ক্লান্ত শরীর
হঠাত বাড়ির বাইরে বুটের আওয়াজ
দরজায় কারা যেন কড়া নারে
বাবা-মায়ের আহাজারি
যুবককে ধরে নিয়ে কারা যেন
দুরে হঠাত গুলির শব্দ
নীরবতা-ভয়াল রাত্রীর আধার হয় পার
সকালে মর্গে নিথর দেহ
সংগ্রামরত মধ্যবিত্তের পরাজয় হয় রাতের ভয়ংকর অন্ধকারের কাছে। সংগ্রামরত মানুষের পরাজয় হয় পেট্রলবোমা নামক আতংকের কাছে। জয়ীই কেউই হতে পারে না, হয়ও না। জয় হয় শয়তানের, পরাজয় হয় মানবতার, পরাজয় হয় মনুষ্যত্বের।
সুশীলরা সুশীল থাকতে থাকতে পারেনি, কারন তারা সব সয় ন্যায়ের পক্ষে থাকতে পারে নি। শুধুমাত্রের মতবাদের বিরোধীতার কারনে ন্যায়ের পক্ষে না থাকার ফলে জয় হয় শয়তানের। কালোয় ছেয়ে যায় ভালো, আলো হয়ে যায় নিস্প্রভ। নিরপেক্ষ বলে যখন আপনি পার পেতে যান, যখন পানি সত্যকে প্রকাশ করেন না, তখন সেটি পরোক্ষভাবে অন্ধকারকে সমর্থন দেয়। আর সেটি এক সময় সবাইকে গ্রাস করে। আজ অন্ধকার প্রকট, বাংলাদেশ যেন একটি বিশাল জংগল, হিংস্র প্রানীর মত সবাই ছুটছে, কে কার রক্ত পান করবে। আমরা বসে বসে হাত তালি দেই কার কতটা লাশ পড়লো তা গুনে গুনে, অদ্ভূত এক আদিম সূখ অনুভব করি। সমর্থন যোগাই পক্ষের শক্তিকে।
মাঝে মাঝে তাই মনেহয়, সময় এগিয়েছে, কিন্তু আদিমতা, উদ্দামতা কমেনি কোন অংশে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, আমাদের মানুষ হওয়ার যোগ্যতা দিন!