“মুক্তমনা” মন হবে উন্মুক্ত, মন হবে খোলা। যে মনে কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকবেনা, যে মন শুধু ভালোবাসতে জানে। কিন্তু একি?? ভিতরে পঁচা দূর্গন্ধ। মুক্তমনা হলঐ বুঝি শুধু ইসলামকে কটাক্ষ করতে হয়?? দূর্গন্ধ ছড়ালে, পরিবেশকে বিষাক্ত করলে তার ছোবল কিছু কিছু সময় নিজেকে আঘাত করে। কিছু মানুষ অবশ্য এই জিনিসটি করে নিজেদের খ্যাতি কুড়িয়েছে। যেমন কুড়িয়েছে ফেরাউন নমরুদ রা।
বেশ কিছুদিন আগে আমার এক ভাগিনা আমাকে একটি পোষ্ট শেয়ার করে বলে মামা দেখেন আমাদের রাসুল (সাঃ) ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে নিয়ে লিখেছে। লিখাগুলো এত্য খারাপ ছিলো যে আমি তাকে বারন করি অন্য কোথাও শেয়ার করতে। বললাম ও লিখেছে লিখুক কোথাও শেয়ার দিওনা তাহলে ওকেই পরোক্ষ প্রমোট করা হলো।
তোমার মন মুক্ত তুমি যা ইচ্ছে লিখতে পারো বাধা নেই তাতে। কিন্তু তুমি যখন কাউকে আঘাত দিচ্ছ তখন মনে করবা তুমি নিজের ও ক্ষতি করছ।
এখন আসল কথায় আসি, ব্লগার রাজিব থেকে শুরু করে আজ অবধি ধর্ম বিদ্বেষী যারা মারা গেছে তাদের মৃত্যুর পেছনে হয় নারী, না হয় রাজনৈড়িক স্বার্থ জড়িত অন্য কিছুই খুজে পাওয়া যায় নি। যখন কোন ইসলাম বিরোধী মারা যায় তখন মিডিয়ায় এমনভাবে ফলাও করে প্রচার করে যে হয়ত দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেছে। আর আমরাও অনেক মুখোশপড়া মানবাধিকার কর্মী আছি যারা সেই সংবাদ টি লুফে নেই নিজেদের মানবাধিকার প্রমান করার জন্য।
স্বভাব সিদ্ধভাবে আমরা আংগুল তুলি ইসলাম পন্থীদের দিকে। আমরা কখনই বলি না যে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, বিচার হোক হত্যাকারীর। আমরা ন্যায়ের পক্ষে থাকিনা বলেই আমরাও অন্যাএর শিকারে পরিনত হই। কারন অন্যায়কে যখন আমরা প্রমোট করি তখন অন্যায় আমাদের পিছু তাড়া করে ফেরে। আমরা যখন নিছক রাজনৈতিক স্বার্থে অন্যকে অপবাদ দেই তখন আসল অপরাধীরা রাস্তা পেয়ে যায়, আর সেই রাস্তা যখন বড় হয়ে যায় তখন তৃতীয় পক্ষ সব সময় সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে।
মানুষ যখন নীতিগত ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে তখন সে অন্যায় পথ বেচে নেয়, এটি কখনও নেয় রাজনৈতিক স্বার্থে কখনও নেয় ব্যক্তিগত স্বার্থে। অভিজিত রায়ের মৃত্যুতে কোন স্বার্থ জড়িত এটি সময় হলে প্রমান হবে। তবে একথা বলে দিলে অত্যুক্তি হবে না যে, এই হত্যাকান্দের সাথে ধর্মীয় কোন বিষয় জড়িত নয়। ধর্ম মানুষকে মানুষের অন্তরকে পরিষ্কার করতে শিক্ষা দেয়, ধর্ম শিক্ষা দেয় সমাজে ন্যায় কায়েমের।
সেই ন্যায় বিচারের হাত ধরে অভিজিতের খুনিরা শাস্তি পাক এই কামনা করি। পাশাপাশি এটাও বলি অন্যকে গালি দিয়ে, অন্য ধর্মকে অশ্লীল ভাষায় কটাক্ষ করে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য প্রগতিবাদী প্রমানের চেষ্টা করা যায়, কিন্তু সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে বেচে থাকা যায় না। ভালো মানুষ হওয়া যায় সবাইকে ভালোবেসে, হিংসা আর বিদ্বেষের বীজ বপনে নয়।
আসুন আমরা বাংলাদেশীরা সবাই সবাইকে ভালোবাসি, সবাই সবার ধর্মকে ভালোবাসতে না পারি অন্তত ঘৃণা না করি, কটাক্ষ না করি।