সেদিন ল্যাবে একজন অ্যাসোসিয়েট প্রেফেসর এসেছিলেন উনি খন্ড কালীন শিক্ষকতা করেন কুর্দিস্তানে। সে সুইডেনের এক ফার্মা কোম্পানীতে অনেকদিন জব করেছে। এখন সে আমাদের গ্রুপের সাথেও কাজ করে। আমাদের গ্রুপ লিডার তাকে জিজ্ঞেস করলো যে, সেখানে শিক্ষার কি অবস্থা। সে জবাব দিলো যে, এ্যাডুকেশন অনেক ভালো কিন্তু গবেষনাতে ফান্ডা নেই। এরপর সে একটি কমেন্ট করেছিলো
“বললো যে বিশ্বের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একই কোর্স লিটারেচার ফলো করা হয়, পার্থক্য হলো সেই লিটারেচার কিভাবে পড়ানো হয় তার উপর”
লেহনিনজারের বায়োকেমিষ্ট্রে ই পড়েই অনেক অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী তৈরী হয়, আবার সেই একই বই পড়ে প্রাইমারী স্কুলের টিচার ও হয়।
একই কথা কুরআনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য একই কুরআন পড়ে আলকায়েদা, তালেবান তৈরী হয়, আবার সেই কুরআনের কারনেই আরবের অন্ধকার যুগের মানুষগুলো সর্বকালের সম্মানিত মানুষে পরিনত হয়েছেন। ঠিক একই কুরাআন পড়ে মুসলিম ও ইসলাম বিরোধী কথা বলেও নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে।
ইংল্যান্ডে মুসলিমদের মধ্যে ইসলাম পালনের প্রবনতা দেখে সেখানকার এক পত্রিকায় বলা হয়েছিলো, মুসলিমদের শিশুদের মধ্যে অ্যারাবীক ট্রাডিশনের খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে, কারন এই খাবার গুলো বাচ্চাদের মানসিকতা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।
আসলে বাস্তবতাও তাই, ইসলাম শুধু মাত্র নামাজ আর রোজা নয়, ইসলাম হলো আপনার চিন্তা, আপনার অভ্যস, আপনার ভালোলাগা, আপনার শরীরের পুষ্টি, আপনি কিভাবে সেগুলো ব্যবকার করছেন, কি ব্যবার করছেন তার উপর নির্ভর করে ব্যক্তিহিসেবে ইসলামে আপনার অবস্থান। পুষ্টিতে যদি অন্য কিছু ঢুকে যায়, আপনার চিন্তা দূষিত হতে বাধ্য, আপনার জীবন যাপন যদি ইচ্ছেমত হয় তাহলে আপনার ব্যক্তিজীবন আর মুসলিম জীবন থাকেনা।
সুতরাং নিজেকে মুসলিম হিসেবে কল্পনা করতে হলে, নিজেকে কুরাআনের আলোকে গঠন করতে হবে, কুরআন থেকে আল্লাহর নির্দেশই নিতে হবে, এবং সবটুকুই নিতে হবে।
একটি শান্তিময় মুসলিম সমাজ গঠনে কুরআন অধ্যয়নের পদ্ধতির উপর জোড় দেয়া উচিত। বুঝার ভিন্নতা, চিন্তার চিন্নতা তৈরী করে, আর এভাবে তৈরী হয় মতবাদের ভিন্নতা।
আল্লাহ আমাদের কুরআনকে কুরআনের মত করেই বুঝার তৌফিক দান করুন।