আমরা ছোটবেলা থেকে যা কিছু শিখেছি তার বেশিরভাগ ই থিওরী। প্রাকটিক্যাল নলেজ আমাদের শিশু এবং তরুনদের দেয়া হয় খুবই কম।
যেমন: আমরা ছোট বেলায় পড়েছি রাস্তা পাড় হতে হবে জেব্রা ক্রোসিং দিয়ে, কিন্তু কখনই জেব্রাক্রোসিং টা কি বাচ্চাদের/ছাত্রদের সাথে করে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয় না।
আবার স্কুলে অনেক কিছু শেখানো হয় থিওরী যা একটু ইচ্ছে আর উদ্যেগ নিলেই হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে স্কুল কলেজের স্যারদের এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের উদ্যেগে আগামী প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষা দিলে আগামীর প্রজন্ম বিশ্বে জায়গা করে নিতে পারবেই সহজেই।
দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে এসে দেখলাম এখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের লাইন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাকটিক্যাল কিছু শিক্ষা দিতে।
যেমনঃ
১) ব্যস্ত রাস্তা কিভাবে পাড় হতে হবে।
২) ময়লা/আবর্জনা কোথায় ফেলতে হবে।
৩) টয়লেট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।
৪) দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই ছোটবেলায় স্কুলে শেখানো হয়।
ঠিক তেমনি একাডেমিক সেক্টরে থিওরীর সাথে প্রাকটিক্যাল করানো হয় বেশি বেশি। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় টাকার অজুহাত দেখানো হয়। আসলে টাকার চেয়ে বড় জিনিস হলো তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ভালো চিন্তা আর একটু উদ্যেগ। এই জিনিস দুটি থাকলে স্বল্প ব্যয়ে একটি আধুনিক শিক্ষিত সমাজ তৈরী করা যায় খুব সহজে।
সায়েন্সের বিষয়গুলিতে অল্পকিছু ব্যয় করলেই অনেক প্রাকটিক্যাল জিনিস শেখানো যায়।
সম্প্রতি (২০০৭) সালে ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিলো একটি সুন্দর নিবন্ধ যেখানে দেখানো হয়েছে টাকা কম থাকলেও কিভাবে সায়েন্স শেখা যায়। সেখানে বাজেট স্ব্ল্পতায় বাশের তৈরী মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে স্কুল কলেজের ছাত্ররা খুব সহজেই অনেক বিষয়ে প্রাকটিক্যাল নলেজ আহরন করতে পারে। এরকম এক একটি মাইক্রোস্কোপের মূল্য ভারতের ১৫০ রুপী মাত্র।
Microscopes made from bamboo bring biology into focus
http://www.nature.com/…/jour…/v13/n10/full/nm1007-1128a.html
“”The microscope has opened up a whole new world for these children,” says Deb. “They could never have imagined that an ant could have tiny antennae or that dragonfly wings could have such beautiful and intricate patterns.”
চিন্তা করুন এরকম আরো অনেক কিছু হোমমেইড জিনিস দিয়ে ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরি করতে পারলে স্ব্লপ বাজেটে শিক্ষার্থীদের হাতে এসব জিনিস তুলে দেয়া যাবে।
আমার মনেহয় শিক্ষকদের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা তৈরী হলে ছাত্রদের মধয়ে ও সেটি সন্চারিত হবে সহজেই। আর আমরা সবাই চাই বাংলাদেশের নামটি বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। এটি সম্ভব কেবল একটি সুন্দর এবং শিক্ষিত জাতি তৈরীর মাধ্যমে আর সেখানে শিক্ষকদের ভূমিকা অন্য সবার চেয়ে বেশি।