“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।” ৯:৩৮
“Do you prefer the life of this world to the Hereafter?
But little is the comfort of this life as compared with
the Life to Come”. [Qur’an 9:38]
“মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়।”
“Such are the possessions of this world’s life; but the
nearness toAllah is the best of the goals.” [Qur’an
3:14]
একটি হাদীসে বর্ণনা করে হয়েছে যে, একদিন রাসুল (সাঃ) একটি ময়লা-আবর্জনার স্তুপের পাশে দাড়িয়েছিলেন এবং তিনি তার সাহাবা (রাঃ) ডাকলেন এবং বললেনঃ “দুনিয়ার পেছনে ছুটো”।
তারপর তিনি একটি গন্ধযুক্ত আবর্জনার টুকরা এবং একটি পচা হার নিলেন এবং বললেনঃ “এটিই হলো দুনিয়া”
আর একদিন রাসুল (সাঃ) দেখেলেন যে, একটি ভেড়ার মৃতদেহ তার মালিক বাইরে ফেলে দিয়েছে। তখন রাসুল (সাঃ) তার সাহাবা (রাঃ) দিকে মুখ ফেরালেন এবং বললেনঃ “তোমরা কি কখনও চিন্তা করেছো যে, ভেড়ার মালিকের কাছে ভেড়ার মৃতদেহটির মূল্য কত? ভেড়ার মালিকের কাছে ভেড়ার মৃতদেহটির যত দাম, আল্লাহর কাছে এই দুনিয়ার দাম তার চেয়ে অনেক মূল্যহীন। একটি মশার পাখনার সমানো যদি এই পৃথিবীর মূল্য হত, নিশ্চয় আল্লাহ তাহলে অবিশ্বাসীদের এক চুমুক পানিও দিতেন না।”