রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন “´সিনসিয়ারিটিই হলো ধর্ম´ সাহাবা (রাঃ) জিগ্গেস করলেনঃ ´কাদের প্রতি´ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ আল্লাহর প্রতি, এবং তার বইয়ের প্রতি (কুরআন), এবং তার রাসুলের প্রতি, এবং মুসলিম লিডারদের প্রতি এবং তাদের সাধারন মানুষের প্রতি”
মাঝে মাঝে নিজেকে জিগ্গেস করি, আল্লাহর প্রতি এবং রাসুল (সাঃ) এর প্রতি আমি কতটুকু আন্তরিক। মাঝে মাঝে ল্যাবে মিটিং এর জন্য সালাতকে দেরি করে পড়ি। মাঝে মাঝে শুক্রবার নামাজও গুরুত্বপূর্ন কাজের কারনে মিস করি। ভয় হয় প্রফেসর মাইন্ড করবে, কিন্তু এরকম ভয় আল্লাহর জন্য খুবই এ কম হয় বা আল্লাহর ভয় করে সব কিছু করা বা আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করা লাগবে এমন মনে করে খুব কম সালাত কিংবা অন্য আমলগুলো করা হয়। সালাত পড়া লাগে তাই পড়ি। কুরআন হাদিস পড়া লাগে তাই পড়ি। তাই আমার কাছে মনেহয় সমস্যাটা উপলব্ধির, সমস্যাটা বিশ্বাসের। সমস্যাটা হলো শিক্ষার। আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, রাসুল (সাঃ) বিশ্বাস করি ঠিকই ভালোবাসি হয়ত, না হলে তো আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বললে মাথার রক্ত গরম হতো না। কিন্তু ভালোবাসার যে একটি ভালোপ্রকাশ ভংগী আছে সেটি হয়ত জানিনা। আল্লাহ শব্দ বা রাসুল (সাঃ) শব্দটিকে আমি ভালোবাসি হয়ত, তাই যেখানে এই শব্দগুলো দেখি ভালোবাসায় নিজেকে পাক্কা মুসলিম মনেহয়। কিন্তু আল্লাহ যা বলেছেন এবং রাসুল (সাঃ) যা বলেছেন সেগুলোর খুব কমই আমল করা হয়। শিক্ষা অর্জন করা ফরজ তাই অনেক শিক্ষা অর্জন করছি কিন্তু আমল করা হচ্ছেনা। এই আমলটা না হওয়ার কারন হলো আন্তরিকতার অভাব।
দুনিয়ার কাজে আমরা কত আন্তরিক। আসলে দুনিয়ার কাজে আন্তরিক অবশ্যই হতে হবে কিন্তু আমি এমন মুসলিম যে, অলস সময় নষ্ট করে দুনিয়ার কাজেও সময় কম পরে যায় ফলে দুনিয়ার নগদ কাজে গুরুত্ব বেড়ে যায় এবং আখিরাতের কাজে আন্তরিকতা নষ্ট হয়। অনেক আলোচনা, অনেক জানা হয়, জানা যত বাড়ে আলোচনাও তত বাড়ে, আমলের পরিমান কমতে থাকে।
আল্লাহর রাব্বুল আলামিন সূরা ছফ এর ২-৩ নং আয়াতে বলতেছেন “মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা কেন বল? তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।”
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের আমলকে বাড়িয়ে দিন। দুনিয়া ও আখিরাতের কাজে আমাদের আন্তরিকতা বাড়িয়ে দিন। আমরা যা বলি তা নিজেদের পালন করার তৌফিক দান করুন।