নতুনেরা জেগেছে নতুন রূপে, নতুনেরা এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু কথা হলো যুদ্ধ কার সাথে???
সত্যের সাথে মিথ্যার??
হকের সাথে বাতিলের??
যারা নিজের পরিচয় ই জানে না, তারা কেমনে যুদ্ধ করবে?? দ্বিধাগ্রস্থ এক সমাজ কিভাবে জয় লাভ করবে অদৃশ্য এক শক্তির সাথে?
৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশ ই বাংলাদেশ। বাংলার ইতিহাস হলো, মুসলিমদের গৌরবগাঁথার ইতিহাস। বখতিহার খিলজি বলেন, সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, শাহজালাল (রহঃ) বলেন আর শাহ মখদুম (রহঃ) বলেন। এদের এ চারনভূমি এই বাংলা। আজকের যারা মুসলিম নাম নিয়ে শাহবাগে গিয়েছে, সেই শাহবাগ ও হয়ত কোন পীর-আওলিয়ার নামে নামকরন করা হয়েছে। ভারতের থেকে পাকিস্তানের সৃষ্টি সেটিও হয়েছিলো, মুসলিমদের কেন্দ্র করে। যারা বলে যে বাংলাদেশ ইসলামের পরিচয়ে পরিচিত না, তারা কিভাবে ব্যাখ্যা করবে, ভারতের সাথে পাকিস্তানের বিভক্তি?? যদি ভারত থেকে পাকিস্তান না হতো তাহলে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এ বা হতো কেমনে। সুতরাং যুক্তির কাছে হার মেনে আজ তারা শয়তানী কথায় মত্ত।
যারা আজ জামায়াত-শিবিরকে পাকিস্তানে যেতে বলেন তারা হয়ত বিকার গ্রস্থ মানসিকতা থেকে ই এসব বলেন। যারা সম্প্রীতির বাংলাদেশ চায় না, যারা আদর্শের লড়াইয়ে শংকিত এবং পরাজিত, এটি তাদের ঘুণেধরা মনের অতৃপ্তির আক্ষেপ।
শাহবাগের যোদ্ধা! এক স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবিতো বলে দিলেন যে, এরা নাকি এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু কথা হলো কিসে থেকে মুক্তি??
মুক্তি কি ইসলাম থেকে??
নাকি নিজের চৌদ্দপুরুষের পরিচয় থেকে?
যে মানুষের আদালতে গিয়ে সাক্ষী দেয়ার সাহস হয় না, আজ সেসব কুপমন্ডুক মানুষ তরুন সমাজের প্ররোচিত আবেগের পেছনে নিজের অবয়ব ঢেকে চুপিসারে মঞ্চে গিয়ে উঠেছে ফাঁসির দাবি নিয়ে। কার ফাঁসি কে চায়?? কি এদের পরিচয়?? আর নেচে-গেয়ে যে বিচার দাবী করা যায় এটা প্রগতিবাদী নামের বানরের জাতের দ্বারাই সম্ভব নাই। যদি শহীদদের প্রতি সন্মান থাকত তাহলে তারা তাদের জন্য দোয়া করত। ৮৫ ভাগ মুসলিমের দেশে জুম্মা নামাজ বাদ দিয়ে, গান-গেয়ে নারী-পুরুষের মিলিত নৃত্যে নাকি নতুন বাংলার স্বপ্ন বুনছে। আর ডিজিটাল প্রজন্ম ডিজিটালে মাতাল হয়ে ছুটছে দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেদের প্রমান করার জন্য। যারা নিজেদের বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারেনা তারা আবার দেশ রক্ষা করবে। যারা সেঞ্চুরিয়ান মানিকদের পাশে বসিয়ে কাতার বন্দি হতে পারে, তারা আর যাই হোক, ভালো মানুষ হতে পারেনা। যারা বিশ্বজিতের খুনিদের সাথে একত্নতা ঘোষনা করে, তারা আর যাই হোক তারা দেশের শান্তি চায় না।
আর যারা জুম্মার সালাত বাদ দিয়ে নেচে-গেয়ে -মোমবাতির আলোয় মুক্তি খুঁজছে, তাদের মুক্তি অনেক আগে ই হয়ে গেছে। কারন তাদের মনের শান্তি মোমের আলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। সূর্যের আলো দেখার মত, অনুভব করার মত শক্তি এদের নেই। এরা মসজিদে গিয়ে শান্তি পায় না। আর তাই জুমার দিনে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করার পরিবর্তে এরা ইসলামি আন্দোলন কে দমন করার, ইসলামি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার স্লোগান দেয়। ঢোল-নৃত্যের তালে তালে। কেমন মুসলমান তোমরা? তোমাদের দেখলে এখন আফসোস ই হয়। তোমরা এভাবে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগে ভুগে শেষ হয়ে যাবে একদিন। কারন না তোমরা কোন ইসলামী আন্দোলনকে বন্ধ করতে পারবে, আর না জামায়াত-শিবিরকে এদেশ থেকে বের করে দিতে পারবে।
একবার চিন্তা করুন,
ন্যায় বিচার চাওয়া যৌক্তিক নাকি ফাঁসি চাওয়া বেশি যৌক্তিক?? যদি ফাঁসি চান তাহলে বিচারের কি প্রয়োজন?? একজন মানুষের বিচার না করে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা কতটুকু সভ্য হতে পারে??
আরো কিছু জিনিস ভাবুন, আপনাদের তাত্ত্বিক গুরু জাফর ইকবাল রা কিন্তু সাক্ষী হয়েও আদালতে যায় নি কারন , পাছে জেরার কাছে না সত্য বেরিয়ে যায়। এসব ভীতু কুপমন্ডুক লোকের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে আপনার আমার আবেগ। আর যেখান থেকে ইসলাম বিরোধী স্লোগান দেয়া হয়, একজন মুসলিম হয়ে আপনি সেখানে কি করেন?? হয়ত এর জন্য জবাবদিহী করতে হবে। আপনি জামায়াত-শিবিরের বিরোধিতা করতে পারেন, ইসলামের বিরোধিতা করলে বাংলার মানুষ আপনাদের ছুড়ে ফেলবে আস্তাকুরে। অতএব সাবধান হোন। কাদের সাথে চলছেন একবার ভাবুন।