অনেকদিন পর ঠাকুরমার ঝুলি গল্পের বইয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। ছোট বেলায় বইমেলায় গেলে এই গুলো ছিলো ছোটদের একনম্বর পছন্দ। ছোটবেলায় যখন ঘুম আসতো না, তখন নানি দাদি কিংবা বড় বোন সেই সব গল্পশোনায়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতো। সাথে সাথে ইচ্ছেকৃত ভয় পাওয়ার শিহরন। তবে যখন বড় হলাম সেই গল্পের চরিত্রগুলো আর কোথাও খুজে পেলাম না। যেমন ছোটোদের বইয়ের হাট্টিমাটিম টিম খুজে পাও্য়া যায় না।
ডিজিটাল যুগে ১৯৭১ পরবর্তী প্রজন্ম যখন ঠাকুরমার ঝুলির গল্পের মত মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনে তখন বড্ড অবাক লাগে। ১৯৭১ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সত্যকে জানার এবং তা খুজে বের করার কোন উতসাহ দেখা যায় না, যদিও বা কিছু দেখা যায়, তাদের অধিকাংশ ই কল্পাকাহিনী বেশি পছন্দ করে। ১৯৭১ কে নিজেরা যাচাই না করে, আমার বন্ধুরা তথাকথিত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি (?) শ্রেনীর গল্প শুনে ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় টুপিওয়ালা মানুষ দেখে রাজাকার বলে ভয়ে চিতকার করে। এটাকে আমি সেই গল্পের লেখকদের সফলতাই মনে করব।
১৯৭১ সালে টিক্কা খানের সাথে গোলাম আজমের ছবি শেয়ার করে তাকে রাজাকার এবং দোষি সাব্যস্ত করার চেষ্টা সেটি সেই ১৯৭১ এর মুনতাসির-কবির গংদের ঝুলি থেকে বের হয়েছে। কারো সাথে মিটিং যদি হয় অপরাধের প্রমান তাহলে ১৯৭১ এর হাজার ছবি বের করা যাবে যেখানে শেখ মুজিব এবং ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানদের মিটিং করছে। রায়ের বাজার বধ্যভূমির হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াত লিডারদের সংযোগ সেটাও মুনতাসির-কবির গং তথা মুন্নি সাহা গোষ্ঠির সাংবাদিক শ্রেনীর হলুদ সাংবাদিকতা। পাক-বাহিনীর নির্মমতাকে জামায়াতের সাথে সংযোগ করে দিতে পারলেই যে একটি গোষ্ঠিকে সন্তুষ্ঠ করা যাবে সেই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ১৯৪৭ কেন তার ও আগ থেকে চলে আসছে। বর্তমান সময়ে আওয়ামী মিথ্যাচার এবং সেই গোষ্ঠির হলুদ সাংবাদিকতা ১৯৭১ এর পর সেই এজন্ডাকেই মনে করে দেয়। এরা সত্যকে গায়ের জোড়ে বদলে দিতে চায়। রামুর ঘটনা, বিশ্বজিত হত্যাকান্ড, এরকম হাজারো ঘটনা আওয়ামী মিথ্যাচার এবং সেই গংদের বানোয়াট ও উদ্ভট সংবাদ পরিবেশন আমাদের ১৯৭১ এর পর ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূকল যে অপপ্রচার সেই কথাটি মনেকরে দেয়। পড়ন্তু সেই অপপ্রচারের সাথে যে আমাদের বন্ধুরূপী শত্রুপ্রতিম দেশ জড়িত সেই কথায় মনে দিলো ভারতীয় হাইকমিশনারের বিজয় দিবসের বক্তৃতায়।
গোলাম আজমের রাজাকার সংযোগ নিয়ে ২ দিন ধরে অনেক খুজলাম কিছু তথ্যা বের করার জন্য। ইন্টারনেট থেকে যা পেলাম, সেখানে গোলাম আজমের সাথে রাজাকার বাহিনীর কোন সংযোগ পেলাম না। তবে হ্যা মুনতাসির-কবীর সহ ঠাকুরমায়ের গল্পশোনা আমাদের জাফর প্রেমীরা কিন্তু তাই মনে করে। তাদের লেখায় সেটি উঠে এসেছে। তবে সত্য হলো, গোলাম আজম রাজাকার ছিলেন না, উনি পিস কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন। রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আর পিস কমিটি গঠন হয়, স্থানীয় ভাবে। অনেকেই বলেন , যে রাজাকার বাহিনী প্রথম গঠন করে মাওলানা ইউসুফ অথচ ১৯৭১ এর ঢাকা গেজেট অনুসারে রাজাকার গঠন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং সেটির বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বে ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর।
jaamt shibir er ei vondamu gulo r ekhon colena. egulo ocol. lekhok hote hole udar moner hote hoy . sudhu songothon r songothon r nijer vabna niye pore thakle oi rajakar bitto theke bair hote parbe na. shibir songoton tarai kore jader basic knowledge khub kom but vab ney onek.
next e valo ekta lekha porar jonno roilam …….no lekha about your songothon.
Thanks