বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো রোহিঙ্গা ও বার্মিজদের জাতিগত দাঙ্গার বিষয়টি। প্রায় দীর্ঘদিন যাবৎ রোহিঙ্গা শুধু মায়ানমার এর সমস্যা না, এটি এখন বাংলাদেশের ও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশ এমনিতেই নুঁয়ে পরেছে, জনসংখ্যার চাপের ফলাফল রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমাজব্যবস্থার সবখানেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এরুপ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সামনে আসায় নতুন করে ভাবার সময় এসে দাঁড়িয়েছে।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে, খ্রীষ্টান মিশনারীরা এই সুযোগ গ্রহন করবে। জীবন সংগ্রামে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত আরাকান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি বৃহৎ খ্রীষ্টান আরকান রাষ্ট্রের পরিকল্পনা, সাম্রাজ্যবাদী খ্রীস্টান রাষ্ট্রগুলোর নিয়ে থাকবেনা এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিৎ সর্বোতভাবে রোহিঙ্গাদের সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়া অথবা আরাকান , ভারতের পশ্চম বঙ্গ , আসাম ও সেভেন সিস্টার নিয়ে একটি বৃহৎ বাংলা রাষ্ট্রের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা
একজন মানুষের ব্যক্তি জীবনে যেমন মিশন ও ভিশন থাকা প্রয়োজন তেমনি একটি জাতি রাষ্ট্রেরও ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলায় একটি মিশন , ভিশন ও টেকসই প্লান থাকা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। আর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে কারন কিছু মানসিকভাবে দেউলিয়া সম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবি সমাজ, স্ব-স্বীকৃত শিক্ষিত সমাজ ও স্বঘোষিত দেশপ্রমিক এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালকদের ভূমিকা দায়িত্বপ্রাপ্ত।
সাম্রাজ্যবাদী ভাইরাস এখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশকে রোগাক্রান্ত করে ফেলছে ফলে ভাইরাসের সংক্রমনে ক্রমশঃ আমরা চিন্তিত। শুধু পার্শ্ববর্তী দেশই নয় ভূ-রাজনৈতিক কারনে ও এখন আমরা চিন্তিত, সাম্রাজ্যবাদী ভাইরাসের সংক্রমনের জন্য উৎকন্ঠিত। চারপাশে শত্রুবেষ্ঠিত মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সামনে টেকসই পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগুনো ছাড়া গতান্তর নেই। আর এজন্য প্রথমে আত্নমর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশি ও ইসলামী ভাবধারার মানুষদের সমন্বয়ে একটি সু-শৃংখল ও শক্তিশালী দল গঠন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর যে জিনিসটি মাথায় নিয়ে এগুতে হবে তা হলো। সাম্রাজ্যবাদীদের কাউন্টার প্লান হিসেবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির পূর্বের মানচিত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আর তা হলো- বাংলা , বিহার ও উরিষ্যার সমন্বয়ের সাথে সাথে ভারতের সেভেন সিষ্টার ও মায়ানমার এর আরাকান রাজ্য নিয়ে একটি বৃহৎ বাংলা গঠনের পরিকল্পনা ও ভিশন নিয়ে কাজ করা। সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তাবিত নতুন বাংলার মানচিত্রটি নিচে তুলে ধরলাম।
মানচিত্রে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত অংশ হবে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাংলাদেশ। প্রস্তাবিত নতুন বাংলাদেশের রাজ্য হবে তিনটি যথাক্রমে-ক) মধ্য বাংলা/ সেন্ট্রাল বাংলা , রাজধানী-ঢাকা, খ) পশ্চিম বাংলা, রাজধানী-জিয়া নগর, গ) পূর্ব বাংলা, রাজধানী-মুজিবনগর। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নতুন বাংলাদেশের অধীনে থাকবে। এক্ষেত্রে বিশাল বঙ্গোপসাগরের অধিকার যেমন হস্তগত হবে তেমনি আরব সাগরে বাংলাদেশের নজরদারী করতে পারবে। দক্ষিন এশিয়ায় আর একটি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রের প্রয়োজন সময়ের দাবি। আর সে দাবি পূরনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ এখন ই শুরু করা প্রয়োজন।
ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজিদের দ্বারা যে মুসলিম রাজ্যের সূচনা। সম্রাট বাবর , জাহাঙ্গীরদের দ্বারা যে মুসলিম ভূ-খন্ড লালিত পালিত হয়েছে, সেই মুসলিম ভূ-খন্ডের সাথে সাথে নবাব আলীবর্দি খাঁন ও নবাব সিরাজ-উদ্দৌল্লাদের দ্বারা যে বাংলা সুশাসন ও সমৃদ্ধিতে বিকশিত হয়েছিলো সেই বাংলার স্বপ্ন একজন বাংলাদেশ প্রেমিক ও ইসলাম প্রেমিক দেখতেই পারে। হয়ত একদিন মীরজাফরদের ভূতকে তাড়িয়ে দিয়ে বাংলার সিংহ শাবক রা মাটির পুতুলকে বশে নিয়ে আসবে। সেই স্বপ্নকে সেই লক্ষ্য কে ধারন করেই একজন বাংলাদেশি মুসলিমের কাজ করা উচিৎ।
ইনশা আল্লাহ , গাযওয়া-এ-হিন্দের পর বাংলাদেশের মানচিত্র এরকম হবে ।
মনে হচ্ছে আমি সত্যিই সপ্ন চূড়ায় । আমার আজ ভাল লাগছে অনেক বেশি। আমি সব সময় পুরো বাংলাকে একসাথে দেখতে চাই।।।।
কিন্তু একটি সাধীন দেশ বাংলাদেশ,,,,রক্তের বিনিময় অর্জিত হয়েছে তাই এটা সম্ভব নয়।